সিলেটে প্রথমবারের মতো হাফ ম্যারাথন

সিলেটের প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো হাফ ম্যারাথন। এতে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অন্তত এক হাজার দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করেন।
শুক্রবার ভোর ঠিক ৬ টায় আলী আমজাদের ঘড়িতে ঘণ্টা বাজার সাথে সাথে রানার্স কমিউনিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি ব্র্যান্ডল্যান্সার এর যৌথ উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী ক্বিন ব্রিজ থেকে শুরু হয় ব্র্যান্ডল্যান্সার হাফ ম্যারাথন।
ম্যারাথনে আয়োজকরা ২টি বিভাগে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। যেখানে ছিলো হাফ ম্যারাথন ২১ দশমিক ১ কিলোমিটারের নবীন দৌড়বিদের বিভাগ এবং এর পাশাপাশি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটারের প্রবীণ বিভাগ যেখানে পুরুষ-নারী ৫০ ঊর্ধ্ব বয়সী প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন।
ম্যারাথনটি ক্বিন ব্রিজ এলাকা থেকে শুরু হয়ে নগরীর শেখঘাট পয়েন্ট হয়ে রিকাবীবাজার, চৌহাট্টা, নয়াসড়ক, শাহী ঈদগাহ থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে খাসদবির থেকে এয়ারপোর্ট রোডের চা বাগানের নয়নাভিরাম রাস্তা প্রদক্ষিণ করে লাক্কাতুরায় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে, সিলেটের সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরতে ম্যারাথনে সম্পূর্ণ ইভেন্টের প্রতিপাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সিলেটের সংস্কৃতি এবং নিজস্ব নাগরী ভাষার হরফ নাগরিলিপি।
নির্ধারিত নির্দিষ্ট কিলোমিটার পথ দৌড়ে ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার প্রতিযোগিতার পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, সাজ্জাদ হোসাইন স্নিগ্ধ, প্রথম রানারআপ- খাইরুল বাসার এবং দ্বিতীয় রানারআপ- মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।
নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, শারমিন আক্তার সুপ্তা, প্রথম রানারআপ নাসরিন বেগম, দ্বিতীয় রানারআপ- নার্গিস জাহান ওহাব।
অন্যদিকে ২১ দশমিক ১ কিলোমিটার প্রতিযোগিতার পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, মোহাম্মদ আল আমিন, প্রথম রানারআপ- মাহবুবুর রহমান এবং দ্বিতীয় রানারআপ- আশরারুল আলম কাশেম। নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন, সারওয়াত পারভিন, প্রথম রানারআপ – হামিদা আক্তার জেবা, দ্বিতীয় রানারআপ- দোলা বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সিলেট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জহুর আহমেদ।
আয়োজক সিলেট রানার্স কমিউনিটির সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্বিন ব্রিজ থেকে সদর উপজেলার বাইশটিলা হয়ে উল্টো ঘুরে লাক্কাতুরা বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে ২১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন শেষ হয়। সুস্বাস্থ্য গঠনে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীদের জন্যে ছিলো একটি জার্সি, মেটাল মেডেল এবং ইভেন্ট পরবর্তী স্বাস্থ্যকর স্নাকস এর সুব্যবস্থা ।
Related News

বাংলাদেশ-উইন্ডিজ সিরিজে আম্পায়ার পাঠাবে আইসিসি
স্পোর্টস ডেস্ক : সাধারণত টেস্ট ম্যাচ নিরপেক্ষ এলিট আম্পায়ার দ্বারা পরিচালিত হওয়ার নিয়ম থাকলেও করোনাকালেRead More

টি-১০ লিগে ছয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার : ছাড়পত্র নিয়ে অনিশ্চয়তা
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয় দলে সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছেন তিন বছর আগে। গত ১০ মাসেRead More